Blog

দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষ, কর্মঠ জনগোষ্ঠির বিকল্প নেই। যে দেশের মানুষ যত বেশী দক্ষ সেই দেশ তত বেশী উন্নত। আশার কথা এই গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে নানামুখী কর্মসূচী নিয়েছে। এটাও মনে রাখতে হবে, দেশে অধিক জনসংখ্যা হলেই দেশের উন্নতি হবে না। পাশাপাশি কর্মক্ষম যুবক, যুবতীদের বেশী হারে কারিগারি শিক্ষার আওতায় আনলে দেশ, সমাজ সমভাবে উপকৃত হবে। এবং দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে যাবে। এ জন্য দেশের কাারগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো এবং সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া দরকার। অথচ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২.৮ শতাংশ। অথচ জাপানে এ ধরনের শিক্ষিত জনবলের শতকরা হার ৬০ শতাংশের বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪০ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৫ শতাংশ।

দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আশানুরূপ বিকাশ ঘটেনি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর। কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পর শিক্ষার্থীকে বা ব্যক্তিকে পেশা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সে নিজেই অর্জিত শিক্ষার সাথে মিল রেখে স্বাধীনভাবে পেশা খুঁজে নিতে পারেন। কারিগরী শিক্ষার প্রধান সাফল্য ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ। এর উদ্দেশ্য শিক্ষার্থী বা ব্যক্তিকে পরবর্তী জীবনে নির্দিষ্ট কোন কারিগরি বিষয়ে দক্ষ করে তোলা, নিজ নিজ উদ্যোগে স্থানীয় ছোট ছোট শিল্পের প্রসার ঘটানো, স্বাধীনভাবে পছন্দ অনুযায়ী বৃত্তি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কর্মীর হাতে পরিণত করা এখন সময়ের দাবি।

দেশের বিপুল সম্ভাবনাময় এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এদেশের জনসম্পদই হচ্ছে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।

কারণ মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন ভাগের একভাগ হচ্ছে ১৫ এবং তদূর্ধ বয়সী কর্ম-উপযোগী মানুষ। অবশ্য আশার কথা সরকার এই গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ ও কারিগরি শিক্ষার উপার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দেশে বর্তমানে দারিদ্রের হার ২৮ ভাগ এবং প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ নতুন করে শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এর অধিকাংশই হয় বেকার, না হয় আধা বেকার অবস্থায় থাকে। যাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়, তারাও দক্ষতার অভাবে স্বল্প বেতন ও সুযোগ-সুবিধায় কাজ করতে বাধ্য হয়। ফলে তাদের জীবনমান থাকে অনুন্নত এবং অভাব হয় নিত্যসঙ্গী। পাশাপাশি আমাদের দেশের প্রচুর সংখ্যক লোক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশে যাচ্ছেন।

প্রবাস থেকে আমাদের দেশে তারা যে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করেন তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারি দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত এবং এ বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে যে সকল শ্রমজীবী মানুষ বিদেশে যান তার শতকরা ২৩ ভাগ মাত্র দক্ষ, বাকি ৭৭ ভাগ আধা-দক্ষ বা অদক্ষ। ফলে তারা অন্যান্য দেশের কর্মজীবীদের তুলনায় অনেক কম আয় করেন এবং কম সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করেন। এসব শ্রমিকদের যদি দক্ষ শ্রমজীবী হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে তারা অধিক উপার্জনসহ উন্নত জীবন পাবেন। কয়েকগুণ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণে সক্ষম হবেন। কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দেয়ার কারণে বাংলাদেশের চাইতে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যা-, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপির হার অনেকগুণ বেশী। অথচ ১৯৭০ সালে এই দেশগুলির জিডিপি আমাদের প্রায় সমকক্ষ ছিলো।

বাংলাদেশে কারিগরী শিক্ষার প্রসারে ১৯৬০ সালে কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করা হয়। কারিগরী শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার জন্য ১৯৬৭ সালে কারিগরী শিক্ষাবোর্ড গঠন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে কারিগরী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন ও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাপক সংস্কার করা হয়। বৃত্তিমূলক পেশার সম্প্রসারণে ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন করে নতুন নতুন ট্রেডসমূহ যুক্ত করা হয়। বর্তমানে কারিগরী শিক্ষায় ছয়মাস থেকে একবছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স, চারবছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স। দেশের ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো এই সকল কোর্স পরিচালনা করে থাকে। বর্তমান বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্র আগের চেয়ে কিছুটা উন্মুক্ত হলেও তা আশানুরূপ নয়।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত প্রকৌশল বিষয়গুলো ছাড়াও এ ধরনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি ডিপ্লোমা, টেক্সটাইল, মেরিন, মেডিকেল টেকনোলজি, গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক্সও গ্রাফিক আর্টস এসেছে কারিগরি শিক্ষার অধীনে। পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি তেজগাঁয় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মধ্যম স্তরের কারিগরি শিক্ষা প্রসারের যে শুভ সূচনা হয় ষাটের দশকে তা ক্রমশ পত্রপল্লবে প্রসারিত হয় দেশজুড়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর এ ধরনের পাবলিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৪৯ -এ উন্নীত হয়। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মধ্যম স্তরের ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার জন্য মোট ৪৯ টি পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ৬টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও একটি সার্ভে ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসএসসি ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) পর্যায়ের শিক্ষার জন্য রয়েছে ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পাশাপাশি যুগের চাহিদা পূরণে নব্বই’র দশকে ব্যাক্তি পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা প্রসারে যাত্রা শুরু হয় বেসরকারি পলিটেকনিকের। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় চারশতাধিক প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিক মিলিয়ে বছরে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।

এ ছাড়া বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিস্তারে রয়েছে ৩৮টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, ৪০টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল কলেজ, ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারে বাংলাদেশে আরও চার হাজারের বেশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বর্তমানে সিভিল, মেকানিক্যাল পাওয়ার, ইলেকট্রিক্যাল কেমিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ছাড়াও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, টেলিকমিউনিকেশনের মতো সময়োপযোগী বিষয়সমূহ সন্নিবেশিত হয়েছে। অথচ এসব কোর্সে পাঠদানের জন্য বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পর্যাপ্ত ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। এ ছাড়াও অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষকের অনেক পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এসব শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী উপযুক্ত শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেরও তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০১ সাল থেকে প্রকৌশল ডিপ্লোমা কোর্স ৩ বছর থেকে ৪ বছরে উন্নীত করা হলেও নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রণীত পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন পাঠ্য পুস্তক সরবরাহের ব্যবস্থা হয়নি। ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রমে ৬০ শতাংশের বেশি ব্যবহারিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের অভাবে ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনায় এর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে শিক্ষার্থীকে পর্যাপ্ত ব্যবহারিক জ্ঞান ছাড়াই প্রকৌশল ডিপ্লোমা সনদ নিয়ে বাস্তব জীবনে প্রবেশ করে কর্মক্ষেত্রে নানারূপ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বর্তমান বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায়তনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেশের মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ পেলে দেশ প্রত্যাশিত পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরী হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের দেশ-বিদেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউগুলোতে যুগোপযোগী নিত্যনতুন টেকনোলজি বা বিভাগ চালু করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দেশে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫ শতাংশ আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত রয়েছে। পলিটেকনিক গ্রাজুয়েটদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

এ লক্ষ্যে তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা প্রয়োজন। তাদের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করার জোর তৎপরতা চালাতে হবে। অদক্ষ জনশক্তির চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় পারদর্শী জনবল বিদেশে পাঠাতে পারলে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ তিন চার গুণ বৃদ্ধি পাবে। দেশে দক্ষ জনশক্তির প্রসার ঘটাতে ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সারাদেশের বর্তমান কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক মানোন্নয়ন জরুরি। দেশের বর্তমান কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রতিটি জেলায় আধুনিক মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা প্রয়োজন। সব সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অবিলম্বে শূন্য শিক্ষকের সব পদ পূরণ এবং নতুন পদ সৃষ্টি করে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দান করা দরকার। ৪ বছর মেয়াদি প্রকৌশল ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম অনুসারে পর্যাপ্তসংখ্যক পাঠ্যপুস্তক এবং ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত করা ছাড়া মানসম্পন্ন শিক্ষাদান সম্ভব নয়।

কারিগরি শিক্ষার আরও প্রসার এবং উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষা দক্ষ জনবল তৈরির মূল ক্ষেত্র। তাই উৎপাদনমুখী ও বাস্তব ভিত্তিক এ শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। কারিগরি শিক্ষাসহ শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন, এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে হবে। তাই এ অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং অবকাঠামো, শিক্ষক, ল্যাব সংকট কাটিয়ে উঠতে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর যথাযথ বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।

মধ্যম স্তরের প্রকৌশলীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও কাজের সঠিক মূল্যায়নসহ দেশের উন্নয়নের ধারায় তাদের অধিকতর সম্পৃক্ত করা হলে তা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়ক হবে। এটা করা গেলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যুগে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিন বদলের যে ঘোষণা দিয়েছে, সে প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের যথাযথ অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে মধ্যম স্তরের কারিগরি শিক্ষা বিকাশ অপরিহার্য্য। দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে তা নিঃসন্দেহে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতেও সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে দেশের নারী সমাজকে তথা নারীদের ক্ষেত্রে কারিগরিকে আরো বেশী মাত্রায় প্রসারে সুযোগ করে দেয়া দরকার। কারণ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন একজন নারী সমৃদ্ধ দেশ ও পরিবার গড়তে অধিক মাত্রায় অবদান রাখতে পারবে।

তথ্যসূত্র: http://www.dainikpurbokone.net/185952/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF/

Leave a Reply