দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সুন্দর আগামীর জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসহ সবাইকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলির কথা বলা হতো। সেই বাংলাদেশ আর নেই। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশে বর্তমানে বর্তমানে ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইন্সটিটিউটের সংখ্যা পাঁচটি, মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট তিনটি, প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা তিনটি। ‘প্রতি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু করা হয়েছে।’ এ ছাড়া ৪টি সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ও ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ৩২৯ উপজেলায় ২০ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দক্ষ নাগরিক গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হবে।’

দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কি পেলাম, কি পেলাম না, তার চিন্তা না করে আগে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে। সেক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন একমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে মানুষের সমস্যাবলী সমাধান এবং জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ। মূলত, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদী যে ইঞ্জনিয়ারিং পড়ানো হয় তাকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। যার গ্রেড মান ১৪। যেখানে উচ্চ মাধ্যমিকের গ্রেড মান ১২, ডিগ্রির গ্রেড মান ১৫ ও অনার্সের ১৬। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে চার(৪) বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। চার বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম আটটি(৮) পর্বে বিভক্ত যাদের সেমিষ্টার বলা হয়। এক একটি সেমিষ্টারের কার্য দিবস ১৬-১৮ সপ্তাহ। সে হিসেবে প্রতি বর্ষের কার্য দিবস ৩২-৩৬ সপ্তাহ। নির্ধারিত কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর পর্ব সমাপণি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণভবন জনগণের  ভবন। আপনাদের জন্য সবসময় এর দ্বার উন্মুক্ত। আগে জানালে এ সম্মেলন গণভবনে আয়োজন করা যেতো।  গণভবনে আপনাদের দাওয়াত থাকলো।’

♦♦ দেশ গড়ার হাতিয়ার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। ♦♦

♦♦ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পান্থপথে ড্যাফোডিল পরিবার পরিচালিত অন্যতম পলিটেকনিক- “ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট” এ ৪ বছর মেয়াদি পলিটেকনিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি চলছে। ♦♦

♦ এইচ.এস.সি অকৃতকার্যদের জন্যও সুযোগ আছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার! ♦

টেকনোলজিসমূহঃ
✅ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ গ্রাফিক্স ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ গার্মেন্টস ডিজাইন এন্ড প্যাটার্ণ মেকিং ইঞ্জিনিয়ারিং
✅ আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং

🔴 ভর্তির যোগ্যতাঃ এস.এস.সি/দাখিল/ভোকেশনাল/উন্মুক্ত পাশ (পাশের সনঃ ২০১১-২০১৯)। ন্যূনতম জিপিএ ২.০০। 🔴

সুবিধাদিঃ
🔹 শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ পাওয়ার সুযোগ!
🔹 রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র পান্থপথে নিজস্ব স্থায়ী সুবিশাল ক্যাম্পাস!
🔹 ড্যাফোডিল ইন্টা. ইউনিভার্সিটিতে আর্থিক সুবিধাসহ B.Sc. ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ!
🔹 নিজস্ব হোস্টেলে নিরিবিলি পরিবেশে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা!
🔹 ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের ৫০,০০,০০০.০০ টাকার শিক্ষা বৃত্তি!
🔹 ছাত্রীদের জন্য ৫০% ছাড়ে অধ্যয়নের সুযোগ!
🔹 ড্যাফোডিল পরিবারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সহায়তা!

🔴 অনলাইন আবেদন লিংকঃ http://admission.dti.ac/ 🔴

❓ বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ 029134695, 01713493267, 01713493233, 01713493288

📢 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পলিটেকনিক।

🏠 ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিটিআই)
স্থায়ী ক্যাম্পাসঃ ৪৩/আর/৫-বি, পান্থপথ (স্কয়ার হাসপাতালের পাশে), ঢাকা।
ভর্তি অফিসঃ ৬৪/৬, লেকসার্কাস, রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, ঢাকা।
** শুক্রবার সহ প্রতিদিন ভর্তি অফিস খোলা। **

Leave a Reply