Blog

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন,শিক্ষা হবে দক্ষতামুখী। সনদভিত্তিক শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্য বোঝা তৈরি করে।

তিনি বলেন, যুগোপযোগী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণই জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির পথ। কারিগরীই হবে শিক্ষার অগ্রাধিকার। সরকার পর্যায়ক্রমে শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেবে।

শনিবার আইডিইবি মিলনায়তনে স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ)” আয়োজিত ‘জাতীয় স্কিলস্ কম্পিটিশন- ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,নতুন প্রজন্মকে আধুনিক কারিগরি প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে। তা না হলে এরাই হয়ে উঠবে দেশের জন্য বড় বোঝা। তিনি কারিগরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে দ্রুত প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন।

শিক্ষা বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাত, কারিগরি শিক্ষা হলো অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। সরকার ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার শতকরা ১ ভাগ থেকে ১৪ ভাগের উপরে উন্নীত করেছে’এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন এই হার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে জোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে এ হারকে ৬৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে তুলতে হবে।

এখাতের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ করেছে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, কোর্স-কারিকুলাম যুগোপযোগী করা, যন্ত্রপাতি-ল্যাব-ওয়ার্কশপ বাড়ানো, নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করাসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নাহিদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লক্ষ। শতকরা হারে তা ৬৬ ভাগ। ২০৩০ সালে এই হার ৭০ এ উন্নীত হবে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব মো: আলমগীর, স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট-এর প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, তৃতীয়বারের মতো স্কিলস্ কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতবছর অক্টোবর মাসে দেশের ১৬২টি সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে এসেছে ৫১টি প্রদর্শনী প্রকল্প।

এর আগে নুরুল ইসলাম নাহিদ জাতীয় জাদুঘর হতে আয়োজিত এক র‌্যালির নেতৃত্ব দেন। বাসস

ইত্তেফাক/মাহাদী

News Link as Ref. http://www.ittefaq.com.bd/national/2017/02/25/105422.html

Leave a Reply