Blog

কম্পিউটার সায়েন্স টেকনোলজি 

কম্পিউটার প্রকৌশল একটি এমন একটি ফলিতবিদ্যা যাতে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপাদানগুলো সু-সমন্বয় রয়েছে। কম্পিউটার প্রকৌশলীদের ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল, সফটওয়ার ডিজাইন ও হার্ডওয়ার-সফটওয়ার একত্রীকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষা ও দক্ষতা আছে। কম্পিউটার প্রকৌশলী কম্পিউটিং এর মাইক্রোপ্রসেসর, পার্সোনাল কম্পিউটার, এবং সুপারকম্পিউটার ডিজাইন থেকে শুরু করে সার্কিট ডিজাইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। এই প্রকৌশলবিদ্যা ডিভাইস ও যন্ত্রে বিভিন্ন এমবেডেড সিস্টেমকে (উদাহরণস্বরুপ, কিছু এমবেডেড কম্পিউটার সিস্টেম মোটরযানের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রন ও পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়) ব্যবহারে ভূমিকা রাখে।

কেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন ?

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর কাজের সুযোগ: সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। তবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম। প্রকৃতপক্ষে, কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির চাকুরীর বাজার প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান হচ্ছে।
  • উচ্চ বেতনের নিশ্চয়তা প্রদান করে: কম্পিউটার সায়েন্স চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি চমৎকার বেতনের নিশ্চয়তাও প্রদান করে থাকে।
  • চমৎকার সন্তুষ্টি: কম্পিউটার সায়েন্স বা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে চাকুরীর জন্য কেবলমাত্র অর্থই একমাত্র প্রত্যাশিত বস্তু নয়। অন্যান্য চাকুরীর তুলনায় এই খাতের চাকুরীতেই সবচেয়ে কাজের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।
  • এটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যারিয়ার: কম্পিউটার প্রযুক্তি আজকাল প্রায় সকল কাজের অংশ হয়ে দাড়িঁয়েছে। অর্থাৎ কম্পিউটারের ব্যবহারের ছাড়া কোন কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কম্পিউটার ডিগ্রীর মাধ্যমে আপনি প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্কিং ও ডেস্কটপ সমর্থন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবেন। যা আপনার জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারে।
  • বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বস্থানে পৌছুতে পারবেন: ব্যবহারিক ক্লাসে আপনি শুধু মাত্র তত্ত্বই শিখতে পারবেন না, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও পরিবর্তন করাও শিখতে পারবেন। আপনি যখন পেশাদারী জীবন শুরু করবেন তখন সারা বিশ্বের মানুষের নিকট আপনার তৈরি জিনিস গুলো পৌছেঁ দিতে পারবেন।
  • অধ্যয়নকালীন সময়েও আয় করতে পারবেন: আপনার অর্জিত দক্ষতা গুলো কাজে লাগিয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই আপনি আয় করা শুরু করতে পারেন। আর এ জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। তাছাড়া আপনি আপনার এলাকায় তথ্য ও প্রযুক্তি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করে বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পরিসেবা প্রদান করেও আয় করা শুরু করতে পারেন।
  • যুক্তি ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন। আর এই দক্ষতা গুলো আপনি আপনার বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োগ করতে পারেন।

ক্যারিয়ার সম্ভাবনা

একজন ভাল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোগ্রামার হতে পারলে দেশে ও দেশের বাইরে রয়েছে চাকরির ব্যাপক সুযোগ। উল্লেখ যোগ্য কাজের ক্ষেত্র সমূহ ‍নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  • সিকিরিওটি বিশ্লেষক
  • ডাটা সাইনটিস্ট
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষক
  • গেম ডেভেলপার
  • সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
  • আইটি কনসাল্টেন্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  • ডাটাবেজ পরিচালক
  • কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • কম্পিউটার সিস্টেম বিশ্লেষক
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্ক নির্মাতা
  • ওয়েব ডেভেলপার
  • তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক
  • কম্পিউটার সিস্টেম ও ইনফরমেশন ম্যানেজার
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামার

🔵 যেখানে পড়বেন:

ড্যাফোডিল পরিবার পরিচালিত দেশের একমাত্র পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিটিআই)। ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট  বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পান্থপথে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস সমৃদ্ধ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। 𝑫𝑻𝑰 প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মানসম্মত  ও সম্মানজনক ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিস্তারিত জানতে:

৬৪/৬, লেকসার্কাস, পান্থপথ (রাসেল স্কয়ার), কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫ ।

Hotline: 9134695, 01713493267, 01713493288, 01713493289 and 010713493187

Leave a Reply