Blog

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এবং টেলিকমিউনিকেশন।

 ২০০৮ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে। এরপর ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালায় রাষ্ট্রীয় কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের (আইটিইউ) কাছে ইলেক্ট্রনিক আবেদন করে বাংলাদেশ। কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থার নকশা তৈরির জন্য ২০১২ সালের মার্চে প্রকল্পের মূল পরামর্শক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ কে নিয়োগ দেওয়া হয়। স্যাটেলাইট সিস্টেম কিনতে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে এক হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তি করে বিটিআরসি। ২০১৫ সালে বিটিআরসি রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে। ২০১৭ সালে কৃত্রিম উপগ্রহের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়।যে সংস্থাটি বাংলাদেশের নিজস্ব “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১” এর সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে একটি আমুল পরিবর্তনের বাহক হিসেবে কাজ করবে ধারনা করা যাচ্ছে। এই স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশে দুইটি আর্থ স্টেশন নির্মান হয়েছে যার একটি মূল স্টেশন হচ্ছে গাজীপুরের জয়দেবপুরে এবং অপরটি রাঙামাটি তে অবস্থিত যেটি ব্যাক আপ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে।

বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট থেকে ৩ ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।

১। টিভি চ্যানেলগুলো তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্যাটেলাইট ভাড়া করে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। আবার দেশের ভিটি চ্যানেলগুলো যদি এই স্যাটেলাইটের সক্ষমতা কেনে তবে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। এর মাধ্যমে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস চালু সম্ভব।

২। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। এর ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ইন্টারনেটবঞ্চিত অঞ্চল যেমন পার্বত্য ও হাওড় এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া সম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারেও ব্যবহার করা যাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।

৩।বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। তখন এর মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে। এবং এই স্যাটেলাইটের আবর্তনে বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন খাতে বিপুল পরিমাণ টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হবে এবং চাকুরীর শূন্য পদে নতুন ও দক্ষ টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ হবে।

যোগাযোগে:

ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিটিআই)

ভর্তি অফিসঃ ৬৪/৬, লেকসার্কাস, রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫।

ফোন: ৯১৩৪৬৯৫, ০১৭১৩৪৯৩২৬৭, ০১৭১৩৪৯৩২৩৩

স্থায়ী ক্যাম্পাসঃ ৪৩/আর/৫-বি, পান্থপথ, ঢাকা-১২১৫।

ফোন: ৯১২২০১৬-১৭, ০১৭১৩৪৯৩২৮

Leave a Reply