ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজী
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিষয় নিয়ে পড়ার আগ্রহ এখন অনেকেরই। অভিভাবকদেরও পছন্দের বিষয় এটি। তাই দেশে এবং বিদেশে, প্রায় সব জায়গাতেই এই বিষয়ে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন অনেকেই।তাই এই বিষয়ের ক্যারিয়ার নিয়ে কৌতুহল থাকাটাই স্বাভাবিক। কম্পিউটারসহ যেকোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যসামগ্রী পরিচালনার জন্যে সর্বাগ্রে প্রয়োজন বিদ্যুত। একবার শুধু চিন্তা করেই দেখোনা কোথায় এর ব্যাবহার নেই, শুধু তাইনা এটি ছাড়া চলেইনা আমাদের। পৃথিবীর এই বিস্ময়কর উন্নয়ন কেবলই এই বিদ্যুৎশক্তির কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে, আর আমাদের পড়াশুনাও সেই বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রকৌশল নিয়ে। তড়িৎ প্রকৌশল, প্রকৌশলবিদ্যার অন্যান্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে অনেক বেশি Advanced, শুধু তাইনা এর কর্মপরিধিও অনেক বেশি।
এছাড়াও বিদ্যুতের ব্যবহার মানবজীবনে বৈচিত্রময়তা এনে দিয়েছে। এই বৈচিত্রময়তাকে নিরাপদ ও সুনিপূণভাবে কাজে লাগানোর জন্যে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কথা বিবেচনা করেই “ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিটিআই)” বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড ৪ বছর মেয়াদী প্রকৌশল ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রমের অধীনে “ডিপ্লোমা-ইন-ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি” চালু করেছেন। দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে সমাদৃত এই কোর্র্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থী নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে কর্মসংস্থান ও আত্নকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে। এছাড়াও সামাজিকভাবে প্রকৌশলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
চাকুরির ক্ষেত্রঃ
(১) সরকারের সকল মন্ত্রনালয়, বিভাগ ও দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেক্ট্রিক্যাল) পদে ২য় শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(২) বিদ্যমান সরকারী ও এবসরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমূহে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ইলেক্ট্রিক্যাল) হিসেবে চাকুরী লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(৩) ভোকেশনাল স্কুলসমূহে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ইলেক্ট্রিক্যাল) হিসেবে চাকুরী লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(৪) ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে ইন্জিনিয়ার পদে চাকুরী লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(৫) জ্বালানী ও বিদ্যুত মন্ত্রনালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপ-সহকারী প্রকৈশলী (ইলেক্ট্রিক্যাল) পদে চাকুরী লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(৬) বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরী লাভ করার যোগ্যতা অর্জন করবে।
(৭) বেসরকারীভাবে বিদ্যুত উতপাদনকারী পানি-বিদ্যুত কেন্দ্র ও পল্লী বিদ্যুত সংস্থায় উপ সহকারী প্রকৌশলী (ইলেক্ট্রিক্যাল) পদে চাকুরী লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।
আত্নকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রঃ
(১) ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্য সামগ্রীর ব্যবসা স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবে।
(২) বিদ্যুত ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়, পল্লী বিদ্যুত সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী ঠিকাদারী ব্যাবসা পরিচালনা করতে পারবে।
(৩) ব্যাক্তিগতভাবে সার্ভিস ইন্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারবে।
(৪) নিজস্ব বিদ্যুত প্লান্ট স্থাপন করতে পারবে।
(৫) ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্যসমূহ আমদানী-রপ্তানী করতে পারবে।
(৬) ইলেক্টিক্যাল পণ্য তৈরির কারখানা স্থাপন করতে পারবে।
(৭) ইলেক্টিক্যাল শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবে।
উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রঃ
৪ বছর মেয়াদী উক্ত কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড সনদপত্র প্রদান করবে। উক্ত সনদপত্রের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রৃহনের সুযোগ রয়েছে।
(১) দেশে বিদ্যমান ইঞ্জিনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রী অর্জনের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(২) বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রী অর্জনের যোগ্যতা অর্জন করবে।
(৩)ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট, রমনা, ঢাকা কর্তৃক পরিচালিত এএমআইই ডিগ্রী (বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ার সমমান) অর্জন করতে পারবে।
(৪) বিদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়/ইন্সটিটিউট থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে পারবে।
(৫) আইডিইবি’র সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।
বিস্তারিত জানতে:
ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিটিআই)
ভর্তি অফিসঃ ৬৪/৬, লেকসার্কাস, রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫।
ফোন: ৯১৩৪৬৯৫, ০১৭১৩৪৯৩২৬৭, ০১৭১৩৪৯৩২৩৩
স্থায়ী ক্যাম্পাসঃ ৪৩/আর/৫-বি, পান্থপথ, ঢাকা-১২১৫।
ফোন: ৯১২২০১৬-১৭, ০১৭১৩৪৯৩২৮০