সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল।। একজন সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ার বলতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেই কল্পনা করে থাকেন। পুরকৌশল হলো পেশাদার প্রকৌশল ব্যবস্থার অন্যতম শাখা যেখানে নকশা, নির্মাণকৌশল, বাস্তবিক বা প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে সেতু, রাস্তা, পরিখা, বাঁধ, ভবন ইত্যাদি নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। ধারণা করা হয় মিসরে প্রাচীন ইরাকে ৪ হাজার ও ২ হাজার পুরকৌশলবিদ্যার প্রসার ঘটে। আর প্রাচীন পুরকৌশলের অবদান স্বরূপ পিরামিড তো আছেই। এরপর আস্তে আস্তে রোম, ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই বিষয়। আর প্রথম ১৮২৮ সালে লন্ডনে ইন্সটিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এটিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর বর্তমানে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই বিষয় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। মূলত পৃথিবীর সর্বত্র পুরকৌশলীদের কাজ রয়েছে। বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরনো, বড় এবং সব প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
কাজের ক্ষেত্র:
সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে ব্রিজ, পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার কাজ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা জরিপের কাজ করে থাকেন, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেন, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্থাপকের কাজও করে থাকেন সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে শিক্ষার্থী পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, রেলওয়ে, রিয়েল এস্টেট, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণে প্রকৌশলী, এনজিও-তে প্রকল্প প্রকৌশল হিসেবে এবং নিজস্ব নির্মাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। আর রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সেখানে চাইলে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের অবস্থান করে নিতে পারে। এছাড়া কাঠামোটি কতটা টেকসই ও সহনশীল হবে সেটাও অনেকাংশে তাদের ওপর নির্ভর করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা পরামর্শকের ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া দেশের বাইরে বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
বেতন বা আয়:
চাকরিতে নতুন যোগদানকারীদের বেতন ৩০ হাজার বা ৪০ হাজার (মাসিক) থেকে শুরু হয়। একটু অভিজ্ঞতা থাকলে ৫০ হাজার বা ৯০ হাজার (মাসিক) থেকে শুরু হয়।তা ছাড়া অভিজ্ঞতার ঝুড়ির দিক থেকে সেই আয় বেড়ে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া একজন নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
যেখানে পড়বেন:
ড্যাফোডিল পরিবার পরিচালিত অন্যতম আধুনিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিটিআই)। ড্যাফোডিল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পান্থপথে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস সমৃদ্ধ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। 𝑫𝑻𝑰 প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মানসম্মত ও সম্মানজনক ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিস্তারিত জানতে:
৬৪/৬, লেকসার্কাস, পান্থপথ (রাসেল স্কয়ার), কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫ ।
৪৩/আর/৫-বি, ইন্দিরা
রোড, পান্থপথ, ঢাকা-১২১৫।
Hotline: 9134695, 01713493267, 01713493280 and
01713493233